প্রতিদিন কয়টি ডিম খাওয়া উচিত Protidin koyta Dim Khoya Usit

ডিম এমন একটি খাদ্য যা এর স্বাস্থ্যের সুপরিচিত, তবে ডিম খাওয়া পছন্দ করেন না এমন লোকদের খুঁজে পাওয়া প্রায় কঠিন। এমন পরিস্থিতিতে একদিনে কত ডিম খাওয়া যায় তা নিয়ে প্রশ্ন।

প্রতিদিন কয়টি ডিম খাওয়া উচিত

"যারা নিয়মিত ব্যায়াম বা কঠিন পরিশ্রম করেন তারা প্রতিদিন ২-৩ টা ডিম খেতে পারেন অর্থাৎ খাওয়া উচিত। অন্যদিকে যারা অলস জীবন যাপন করেন তাদের জন্যে প্রতিদিন একটির বেশি ডিম খাওয়া উচিত নয়"। ডিম খেতে ভালবাসেন এমন লোকেরা একবারে একাধিক ডিম খায় - এমনকি দিনে ২/৩ ডিমও খায়। আবার অনেকের ধারণা, এটা স্বাস্থ্যের প্রভাব বা অন্য কোনও প্রভাব থাকতে পারে?

প্রতিদিন কয়টি ডিম খাওয়া উচিত

ডিম স্বাস্থ্যকর একথা সবারই জানা। প্রতিদিনের খাবারে ডিম রাখতে বলেন ডাক্তারগন। পুষ্টিকর খাবার হিসেবে ডিমের চাহিদা রয়েছে সব সময়। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ডিম খেতে পরামর্শ দেওয়ার কারণ হিসেবে শুধু এর স্বাদই নয়, এর পুষ্টির দিকটাও বিবেচনায় রয়েছে। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিনের অনেকটাই পাওয়া যায় ডিমে। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। প্রোটিন ছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন ৬, থিয়ামিন, আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ১২, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম-ম্যাগনেশিয়াম-সোডিয়াম। এসব উপাদান শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আমাদের হাড়, চুল, চোখ, নখ সবকিছুই সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ডিম। তবে বেশি পুষ্টি পাওয়ার জন্য দিনে অনেকগুলো ডিম খাওয়া যাবে কি? জেনে নিন দিনে সর্বোচ্চ কয়টি ডিম খেতে পারবেন-

ডিমে কতটুকু কোলেস্টেরল থাকে

ডিমে বেশি কোলেস্টেরল থাকায় দিনে খুব বেশি ডিম না খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। একটি ডিমে থাকে প্রায় দুইশো মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। গবেষণায় জানা যায়, দিনে শরীরে সর্বোচ্চ তিনশো মিলিগ্রামের মতো কোলেস্টেরল গ্রহণ করা যায়। কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে তা ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মতো কাজ করতে পারে। ফলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ডিম খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ একথা বিশেষজ্ঞরাই বলে থাকেন। তবে নানা সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে এর। তাইতো এই প্রশ্ন সবার মনে জাগে যে, দিনে কতগুলো ডিম খাওয়া যাবে? সম্প্রতি গবেষণা অনুসারে, যেকোনো সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য সপ্তাহে সাতটি ডিম খাওয়া উচিত। খুব একটা সমস্যা না হলে দিনে তিনটি পর্যন্ত ডিম খাওয়া যেতে পারে।

ডিম খাওয়ায় যে সমস্যা হতে পারে

প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়। কারণ নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি ডিম খেলে তা ক্ষতির কারণ হতে পারে। ডিমে থাকে প্রচুর কোলেস্টরল। তাই ডিম খাওয়ার কারণে শরীরে কোলেস্টেরল বেড়ে গিয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় এটি ডায়রিয়ার মতো অসুখের কারণ হতে পারে। তাই পরিমিত ডিম খাওয়া উচিত। প্রতিদিন কতগুলো ডিম শরীরের জন্য ভালো, গবেষণায় এখনও সেই তথ্য পাওয়া যায়নি। ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা, জীবনযাপনের ধরন ও খাবারের রুটিনের দিকগুলো বিবেচনা করে ডিম খাওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। তবে ডিম যেন অতিরিক্ত না খাওয়া হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ইউএস ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন, জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটস-এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রাতঃরাশের জন্য ডিম খাওয়া দুপুর পর্যন্ত পেট ভরে দেয়। একইভাবে, ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রা 36 ঘন্টা পর্যন্ত হ্রাস করা হয়। এই গবেষণাটি 25 থেকে 60 বছর বয়সী 30 মহিলার উপর পরিচালিত হয়েছিল। ডিম পেশী এবং হাড়ের শক্তি বাড়াতেও সহায়তা করে। আপনি কীভাবে ডিম খান তাও গুরুত্বপূর্ণ। সিদ্ধ ডিমগুলি স্বাস্থ্যকর কারণ এগুলিতে তেল থাকে না।

কাঠ বাদামের উপকারিতা benefits of wood nuts