"

সূরা ইয়াসিন Surah Yasin

সূরা ইয়াসিন এর আরবি ,বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ এবং ইংরেজী সহ

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

        বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

> (পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি)
> In the name of Allah, Most Gracious, Most Merciful




সূরা ইয়াসিন


(1)

يس

ইয়া-সী-ন্
>
ইয়া সীন।
> Ya Sin.


(2)

وَالْقُرْآنِ الْحَكِيمِ

অল্ ক্বর্ -নিল্ হাকীম্।
>
শপথ জ্ঞানগর্ভ কুরআনের।
> By the Qur'an, full of Wisdom,-


(3)

إِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ

ইন্নাকা লামিনাল্ র্মুসালীন্।
>
তুমি অবশ্যই রাসূলদের অন্তর্ভুক্ত।
> Thou art indeed one of the apostles,


(4)

عَلَىٰ صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ

আলা-ছির-ত্বিম্ মুস্তাক্বীম্
>
তুমি সরল পথে প্রতিষ্ঠিত।
> On a Straight Way.


(5)

تَنْزِيلَ الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ

তান্যীলাল্ আযীর্যি রহীম্।
>
কুরআন অবতীর্ণ পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু আল্লাহর নিকট হতে।
> It is a Revelation sent down by (Him), the Exalted in Might, Most Merciful.


(6)

لِتُنْذِرَ قَوْمًا مَا أُنْذِرَ آبَاؤُهُمْ فَهُمْ غَافِلُونَ

লিতুন্যিরা ক্বওমাম্ মা য়উন্যিরা -বা-য়ুহুম্ ফাহুম্ -ফিলূন্
>
যাতে তুমি সতর্ক করতে পার এমন এক জাতিকে যাদের পিতৃ-পুরুষদেরকে সতর্ক করা হয়নি, যার ফলে তারা গাফিল


> In order that thou mayest admonish a people, whose fathers had received no admonition, and who therefore remain heedless (of the Signs of Allah.


(7)

لَقَدْ حَقَّ الْقَوْلُ عَلَىٰ أَكْثَرِهِمْ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ

লাক্বাদ্ হাকক্বল্ ক্বওলু আলা আক্ছারিহিম্ ফাহুম্ লা-ইয়ুমিনূন্।
>
তাদের অধিকাংশের জন্য সেই বাণী অবধারিত হয়েছে; সুতরাং তারা ঈমান আনবেনা।
> The Word is proved true against the greater part of them: for they do not believe.


(8)

إِنَّا جَعَلْنَا فِي أَعْنَاقِهِمْ أَغْلَالًا فَهِيَ إِلَى الْأَذْقَانِ فَهُمْ مُقْمَحُونَ

ইন্না-জ্বাআল্না-ফী না-ক্বিহিম্ আগ্লা-লান্ ফাহিয়া ইলাল্ আয্ক্বা-নি ফাহুম্ মুকমাহূন্।
>
আমি তাদের গলদেশে চিবুক পর্যন্ত বেড়ি পরিয়েছি, ফলে তারা উর্ধ্বমুখী হয়ে গেছে।
> We have put yokes round their necks right up to their chins, so that their heads are forced up (and they cannot see).


(9)

وَجَعَلْنَا مِنْ بَيْنِ أَيْدِيهِمْ سَدًّا وَمِنْ خَلْفِهِمْ سَدًّا فَأَغْشَيْنَاهُمْ فَهُمْ لَا يُبْصِرُونَ

অজ্বাআল্না-মিম্ বাইনি আইদী হিম্ সাদ্দাঁও মিন্ খল্ফিহিম্ সাদ্দান্ ফায়াগ্শাইনা-হুম ফাহুম্ লা-ইয়ুব্ছিরূন্।
>
আমি তাদের সম্মুখে প্রাচীর পশ্চাতে প্রাচীর স্থাপন করেছি এবং তাদেরকে আবৃত করেছি, ফলে তারা দেখতে পায়না।
> And We have put a bar in front of them and a bar behind them, and further, We have covered them up; so that they cannot see.


(10)

وَسَوَاءٌ عَلَيْهِمْ أَأَنْذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنْذِرْهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ

অসাওয়া-য়ুন্ আলাইহিম্ আর্ন্যাতাহুম্ আম্ লাম্ তুর্ন্যিহুম্ লা-ইয়ুমিনূন্।
>
তুমি তাদেরকে সতর্ক কর কিংবা না কর তাদের জন্য উভয়ই সমান; তারা ঈমান আনবেনা।
> The same is it to them whether thou admonish them or thou do not admonish them: they will not believe.


(11)

إِنَّمَا تُنْذِرُ مَنِ اتَّبَعَ الذِّكْرَ وَخَشِيَ الرَّحْمَٰنَ بِالْغَيْبِ ۖ فَبَشِّرْهُ بِمَغْفِرَةٍ وَأَجْرٍ كَرِيمٍ

ইন্নামা-তুন্যিরু মানিত্তাবাআয্ যিকর অখশির্য়া রাহ্মা-না বিল্গাইবি ফাবার্শ্শিহু বিমাগ্ফিরতিঁও অআজরিন্ কারীম্।
>
তুমি শুধু তাদেরকেই সতর্ক করতে পার যারা উপদেশ মেনে চলে এবং না দেখে দয়াময় রাহমানকে ভয় করে। অতএব তুমি তাদেরকে ক্ষমা মহা পুরস্কারের সংবাদ দাও।
> Thou canst but admonish such a one as follows the Message and fears the (Lord) Most Gracious, unseen: give such a one, therefore, good tidings, of Forgiveness and a Reward most generous.


(12)

إِنَّا نَحْنُ نُحْيِي الْمَوْتَىٰ وَنَكْتُبُ مَا قَدَّمُوا وَآثَارَهُمْ ۚ وَكُلَّ شَيْءٍ أَحْصَيْنَاهُ فِي إِمَامٍ مُبِينٍ

ইন্না-নাহ্নু নুহ্য়িল্ মাওতা- অনাক্তুবু মা-ক্বাদ্দামূ অআ-ছা-রহুম্; অকুল্লা শাইয়িন্ আহ্ছোয়াইনা-হু ফী ইমা-মিম্ মুবীন্।
>
আমিই মৃতকে করি জীবিত এবং লিখে রাখি যা তারা অগ্রে প্রেরণ করে এবং যা তারা পশ্চাতে রেখে যায়, আমি প্রত্যেক বিষয়কে স্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত রেখেছি।
> Verily We shall give life to the dead, and We record that which they send before and that which they leave behind, and of all things have We taken account in a clear Book (of evidence).


(13)

وَاضْرِبْ لَهُمْ مَثَلًا أَصْحَابَ الْقَرْيَةِ إِذْ جَاءَهَا الْمُرْسَلُونَ

অদ্ব্রিব্ লাহুম্ মাছালান্ আছ্হা-বাল্ র্ক্বইয়াহ্; ইয্ জ্বা-য়াহাল্ র্মুসালূন্।
>
তাদের নিকট উপস্থিত কর এক জনপদের অধিবাসীদের দৃষ্টান্ত; তাদের নিকট এসেছিল রাসূলগণ।
> Set forth to them, by way of a parable, the (story of) the Companions of the City. Behold!, there came apostles to it.


(14)

إِذْ أَرْسَلْنَا إِلَيْهِمُ اثْنَيْنِ فَكَذَّبُوهُمَا فَعَزَّزْنَا بِثَالِثٍ فَقَالُوا إِنَّا إِلَيْكُمْ مُرْسَلُونَ

ইয্ র্আসালনা ইলাইহিমুছ্ নাইনি ফাকায্যাবূহুমা- ফাআয্যায্না-বিছা-লিছিন্ ফাক্ব-লূ ইন্না ইলাইকুম্ র্মুসালূন্।
>
যখন আমি তাদের নিকট পাঠিয়েছিলাম দুজন রাসূল, কিন্তু তারা তাদেরকে মিথ্যাবাদী বলল; তখন আমি তাদেরকে শক্তিশালী করেছিলাম তৃতীয় একজন দ্বারা এবং তারা বলেছিলঃ আমরাতো তোমাদের নিকট প্রেরিত হয়েছি।
> When We (first) sent to them two apostles, they rejected them: But We strengthened them with a third: they said, "Truly, we have been sent on a mission to you."


(15)

قَالُوا مَا أَنْتُمْ إِلَّا بَشَرٌ مِثْلُنَا وَمَا أَنْزَلَ الرَّحْمَٰنُ مِنْ شَيْءٍ إِنْ أَنْتُمْ إِلَّا تَكْذِبُونَ

ক্বা-লূ মা আন্তুম ইল্লা-বাশারুম্ মিছ্লুনা- অমা আন্যার্লা রহ্মা-নু মিন্ শাইয়িন্ ইন্ আন্তুম ইল্লা-তাক্যিবূন্।
>
তারা বললঃ তোমরাতো আমাদের মত মানুষ, দয়াময় কিছুই অবতীর্ণ করেননি, তোমরা শুধু মিথ্যাই বলছ।
> The (people) said: "Ye are only men like ourselves; and ((Allah)) Most Gracious sends no sort of revelation: ye do nothing but lie."


(16)

قَالُوا رَبُّنَا يَعْلَمُ إِنَّا إِلَيْكُمْ لَمُرْسَلُونَ

ক্ব-লূ রব্বুনা-ইয়ালামু ইন্না ইলাইকুম্ লার্মুসালূন্।
>
তারা বললঃ আমাদের রাব্ব জানেন যে, আমরা অবশ্যই তোমাদের নিকট প্রেরিত হয়েছি।
> They said: "Our Lord doth know that we have been sent on a mission to you:


(17)

وَمَا عَلَيْنَا إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ

অমা- আলাইনা ইল্লাল্ বালা-গুল্ মুবীন্।
>
স্পষ্টভাবে প্রচার করাই আমাদের দায়িত্ব।
> "And our duty is only to proclaim the clear Message."


(18)

قَالُوا إِنَّا تَطَيَّرْنَا بِكُمْ ۖ لَئِنْ لَمْ تَنْتَهُوا لَنَرْجُمَنَّكُمْ وَلَيَمَسَّنَّكُمْ مِنَّا عَذَابٌ أَلِيمٌ

ক্ব-লূ ইন্না-তাত্বোয়াইর্য়্যানা-বিকুম্, লায়িল্লাম্ তান্তাহূ লার্না জুমান্নাকুম্ অলা-ইয়ামাস্ সান্নাকুম্ মিন্না-আযা- বুন্ আলীম্।
>
তারা বললঃ আমরা তোমাদেরকে অমঙ্গলের কারণ মনে করি। যদি তোমরা বিরত না হও তাহলে তোমাদেরকে অবশ্যই প্রস্তরাঘাতে হত্যা করব এবং আমাদের পক্ষ হতে তোমাদের উপর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি অবশ্যই আপতিত হবে।
> The (people) said: "for us, we augur an evil omen from you: if ye desist not, we will certainly stone you. And a grievous punishment indeed will be inflicted on you by us."


(19)

قَالُوا طَائِرُكُمْ مَعَكُمْ ۚ أَئِنْ ذُكِّرْتُمْ ۚ بَلْ أَنْتُمْ قَوْمٌ مُسْرِفُونَ

ক্ব-লূ ত্বোয়া-য়িরুকুম্ মাআকুম্ আয়িন্ যুর্ক্কিতুম্; বাল্ আন্তুম্ ক্বওমুম্ মুস্রিফূন্।
>
তারা বললঃ তোমাদের অমঙ্গল তোমাদেরই সাথে, এটা কি জন্য যে, আমরা তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছি? বস্তুতঃ তোমরা এক সীমা লংঘনকারী সম্প্রদায়।
> They said: "Your evil omens are with yourselves: (deem ye this an evil omen). If ye are admonished? Nay, but ye are a people transgressing all bounds!"


(20)

وَجَاءَ مِنْ أَقْصَى الْمَدِينَةِ رَجُلٌ يَسْعَىٰ قَالَ يَا قَوْمِ اتَّبِعُوا الْمُرْسَلِينَ

অজ্বা-য়া মিন্ আকছোয়াল্ মাদীনাতি রাজুলুঁই ইয়াস্-ক্ব-লা ইয়া-ক্বওমিত তাবিউল্ মুরসালীন্
>
নগরীর প্রান্ত হতে এক ব্যক্তি ছুটে এলো, সে বললঃ হে আমার সম্প্রদায়! রাসূলদের অনুসরণ কর।
> Then there came running, from the farthest part of the City, a man, saying, "O my people! Obey the apostles:


(21)

اتَّبِعُوا مَنْ لَا يَسْأَلُكُمْ أَجْرًا وَهُمْ مُهْتَدُونَ

ইত্তাবি মাল্লা-ইয়াস্য়ালুকুম্ আজরঁও অহুম্ মুহ্তাদূন্।
>
অনুসরণ কর তাদের যারা তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চায়না এবং তারা সৎ পথপ্রাপ্ত।
> "Obey those who ask no reward of you (for themselves), and who have themselves received Guidance.


(22)

وَمَا لِيَ لَا أَعْبُدُ الَّذِي فَطَرَنِي وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ

অমা-লিয়া লা বুদুল্লাযী ফাত্বোয়ারানী ইলাইহি র্তুজ্বাঊন্।
>
আমার কি যুক্তি আছে যে, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং যাঁর নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে আমি তাঁর ইবাদাত করবনা?
> "It would not be reasonable in me if I did not serve Him Who created me, and to Whom ye shall (all) be brought back.


(23)

أَأَتَّخِذُ مِنْ دُونِهِ آلِهَةً إِنْ يُرِدْنِ الرَّحْمَٰنُ بِضُرٍّ لَا تُغْنِ عَنِّي شَفَاعَتُهُمْ شَيْئًا وَلَا يُنْقِذُونِ

আত্তাখিযু মিন্ দূনিহী - লিহাতান্ ইঁইয়্যুরির্দ্নি রহমা-নু বির্দ্বুরিল্ লা-তুগ্নি আন্নী শাফা-আতুহুম্ শাইয়াঁও অলা-ইয়ুন্ক্বিযূন্।
>
আমি কি তাঁর পরিবর্তে অন্য মাবূদ গ্রহণ করব? দয়াময় (আল্লাহ) আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাইলে তাদের সুপারিশ আমার কোন কাজে আসবেনা এবং তারা আমাকে উদ্ধারও করতে পারবেনা।
> "Shall I take (other) gods besides Him? If ((Allah)) Most Gracious should intend some adversity for me, of no use whatever will be their intercession for me, nor can they deliver me.


(24)

إِنِّي إِذًا لَفِي ضَلَالٍ مُبِينٍ

ইন্নী ইযাল্লাফী দ্বলা-লিম্ মুবীন্।
>
এরূপ করলে আমি অবশ্যই স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পতিত হব।
> "I would indeed, if I were to do so, be in manifest Error.


(25)

إِنِّي آمَنْتُ بِرَبِّكُمْ فَاسْمَعُونِ

ইন্নী -মান্তু বিরব্বিকুম্ ফাস্মাঊন্।
>
আমিতো তোমাদের রবের উপর ঈমান এনেছি, অতএব তোমরা আমার কথা শোন।
> "For me, I have faith in the Lord of you (all): listen, then, to me!"


(26)

قِيلَ ادْخُلِ الْجَنَّةَ ۖ قَالَ يَا لَيْتَ قَوْمِي يَعْلَمُونَ

ক্বীলাদ্ খুলিল্ জ্বান্নাহ্; ক্ব-লা ইয়ালাইতা ক্বওমী ইয়ালামূন্।
>
তাকে বলা হলঃ জান্নাতে প্রবেশ কর। সে বলে উঠলঃ হায়! আমার সম্প্রদায় যদি জানতে পারত
> It was said: "Enter thou the Garden." He said: "Ah me! Would that my People knew (what I know)!-


(27)

بِمَا غَفَرَ لِي رَبِّي وَجَعَلَنِي مِنَ الْمُكْرَمِينَ

বিমা-গফারলী রব্বী জ্বাআলানী মিনাল্ মুক্রমীন্।
>
কি কারণে আমার রাবব আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং সম্মানিত করেছেন।
> "For that my Lord has granted me Forgiveness and has enrolled me among those held in honour!"


(28)

وَمَا أَنْزَلْنَا عَلَىٰ قَوْمِهِ مِنْ بَعْدِهِ مِنْ جُنْدٍ مِنَ السَّمَاءِ وَمَا كُنَّا مُنْزِلِينَ

অমা আন্যাল্না আলা- ক্বওমিহী মিম্ বাদিহী মিন্ জুন্দিম্ মিনাস্ সামা-য়ি অমা- কুন্না-মুন্যিলীন্।
>
আমি তার মৃত্যুর পর তার সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আকাশ হতে কোন বাহিনী প্রেরণ করিনি এবং প্রেরণের প্রয়োজনও ছিলনা।
> And We sent not down against his People, after him, any hosts from heaven, nor was it needful for Us so to do.


(29)

إِنْ كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ خَامِدُونَ

ইন্ কা-নাত্ ইল্লা-ছোয়াইহাতাঁও ওয়া-হিদাতান্ ফাইযা-হুম্ -মিদূন্।
>
ওটা ছিল শুধুমাত্র এক মহানাদ। ফলে তারা নিথর নিস্তব্দ হয়ে গেল।
> It was no more than a single mighty Blast, and behold! they were (like ashes) quenched and silent.


(30)

يَا حَسْرَةً عَلَى الْعِبَادِ ۚ مَا يَأْتِيهِمْ مِنْ رَسُولٍ إِلَّا كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِئُونَ

ইয়া-হাস্রতান্ আলাল্ ইবা-দি মা-ইয়াতীহিম্ র্মি রসূলিন্ ইল্লা-কা-নূ বিহী ইয়াস্তাহ্যিয়ূন্।
>
পরিতাপ বান্দাদের জন্য! তাদের নিকট যখনই কোন রাসূল এসেছে তখনই তারা তাকে ঠাট্টা বিদ্রুপ করেছে।
> Ah! Alas for (My) Servants! There comes not an apostle to them but they mock him!


(31)

أَلَمْ يَرَوْا كَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُمْ مِنَ الْقُرُونِ أَنَّهُمْ إِلَيْهِمْ لَا يَرْجِعُونَ

আলাম্ ইয়ারও কাম্ আহ্লাক্না-ক্বব্লাহুম্ মিনাল্ কুরূনি আন্নাহুম্ ইলাইহিম্ লা-ইর্য়াজ্বিঊন্।
>
তারা কি লক্ষ্য করেনা যে, তাদের পূর্বে কত মানবগোষ্ঠীকে আমি ধ্বংস করেছি যারা তাদের মধ্যে ফিরে আসবেনা?
> See they not how many generations before them we destroyed? Not to them will they return:


(32)

وَإِنْ كُلٌّ لَمَّا جَمِيعٌ لَدَيْنَا مُحْضَرُونَ

অইন্ কুল্লুল্লাম্মা-জ্বামীউল্লাদাইনা-মুহ্দ্বোয়ারূন্।
>
এবং অবশ্যই তাদের সকলকে একত্রে আমার নিকট উপস্থিত করা হবে।
> But each one of them all - will be brought before Us (for judgment).


(33)

وَآيَةٌ لَهُمُ الْأَرْضُ الْمَيْتَةُ أَحْيَيْنَاهَا وَأَخْرَجْنَا مِنْهَا حَبًّا فَمِنْهُ يَأْكُلُونَ

-ইয়াতু ল্লাহুমুল্ র্আদুল্ মাইতাতু আহ্ইয়াইনা-হা আখ্রজনা-মিন্হা-হাব্বান্ ফামিন্হু ইয়াকুলূন্।
>
তাদের জন্য একটি নিদর্শন মৃত ধরিত্রী, যাকে আমি সঞ্জীবিত করি এবং যা হতে উৎপন্ন করি শস্য, যা তারা আহার করে।
> A Sign for them is the earth that is dead: We do give it life, and produce grain therefrom, of which ye do eat.


(34)

وَجَعَلْنَا فِيهَا جَنَّاتٍ مِنْ نَخِيلٍ وَأَعْنَابٍ وَفَجَّرْنَا فِيهَا مِنَ الْعُيُونِ

অজ্বাআল্না- ফীহা-জ্বান্না-তিম্ মিন্ নাখীলিঁও অআনা বিঁও অফার্জ্জ্বানা-ফীহা-মিনাল্ উইয়ূন্।
>
তাতে আমি সৃষ্টি করি খেজুর আঙ্গুরের উদ্যান এবং উৎসারিত করি প্রস্রবণ
> And We produce therein orchard with date-palms and vines, and We cause springs to gush forth therein:


(35)

لِيَأْكُلُوا مِنْ ثَمَرِهِ وَمَا عَمِلَتْهُ أَيْدِيهِمْ ۖ أَفَلَا يَشْكُرُونَ

লিয়াকুলূ মিন্ ছামারিহী অমা আমিলাত্হু আইদীহিম্; আফালা-ইয়াশ্কুরূন্।
>
যাতে তারা আহার করতে পারে এর ফলমূল হতে, অথচ তাদের হাত ওটা সৃষ্টি করেনি। তবুও কি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবেনা?
> That they may enjoy the fruits of this (artistry): It was not their hands that made this: will they not then give thanks?


(36)

سُبْحَانَ الَّذِي خَلَقَ الْأَزْوَاجَ كُلَّهَا مِمَّا تُنْبِتُ الْأَرْضُ وَمِنْ أَنْفُسِهِمْ وَمِمَّا لَا يَعْلَمُونَ

সুব্হা-নাল্লাযী খলাক্বল্ আয্ওয়াজ্বা কুল্লাহা-মিম্মা-তুম্বিতুল্ র্আদু অমিন্ আন্ফুসিহিম্ অমিম্মা-লা-ইয়ালামূন্।
>
পবিত্র মহান তিনি, যিনি উদ্ভিদ, মানুষ এবং তারা যাদেরকে জানেনা তাদের প্রত্যেককে সৃষ্টি করেছেন জোড়ায় জোড়ায়।
> Glory to Allah, Who created in pairs all things that the earth produces, as well as their own (human) kind and (other) things of which they have no knowledge.


(37)

وَآيَةٌ لَهُمُ اللَّيْلُ نَسْلَخُ مِنْهُ النَّهَارَ فَإِذَا هُمْ مُظْلِمُونَ

অআ-ইয়াতুল্লা হুমুল্ লাইলু নাস্লাখু মিন্ হুন্নাহা- ফাইযা-হুম্ মুজ্লিমূন্
>
তাদের এক নিদর্শন রাত, ওটা হতে আমি দিবালোক অপসারিত করি, তখন সকলেই অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
> And a Sign for them is the Night: We withdraw therefrom the Day, and behold they are plunged in darkness;


(38)

وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَهَا ۚ ذَٰلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ

অশ্শাম্সু তাজ্ব্রী লিমুস্তার্ক্বরিল্লাহা-; যা-লিকা তাকদীরুল্ আযীযিল্ আলীম্।
>
এবং সূর্য ভ্রমণ করে ওর নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ।
> And the sun runs his course for a period determined for him: that is the decree of (Him), the Exalted in Might, the All-Knowing.


(39)

وَالْقَمَرَ قَدَّرْنَاهُ مَنَازِلَ حَتَّىٰ عَادَ كَالْعُرْجُونِ الْقَدِيمِ

অল্ ক্বমার ক্বর্দ্দানা-হু মানা-যিলা হাত্তা- -দা কাল্ র্উজুনিল্ ক্বদীম্।
>
এবং চন্দ্রের জন্য আমি নির্দিষ্ট করেছি বিভিন্ন মানযিল, অবশেষে ওটা শুস্ক বক্র পুরাতন খেজুর শাখার আকার ধারণ করে।
> And the Moon,- We have measured for her mansions (to traverse) till she returns like the old (and withered) lower part of a date-stalk.


(40)

لَا الشَّمْسُ يَنْبَغِي لَهَا أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ ۚ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ

লাশ্ শাম্সু ইয়াম্বাগী লাহা আন্ তুদ্রিকাল্ ক্বমার অলাল্লাইলু সা-বিকুন্ নাহার্-; কুল্লুন্ ফী ফালাকিইঁ ইয়াস্বাহূন্।
>
সূর্যের পক্ষে সম্ভব নয় চাঁদের নাগাল পাওয়া এরং রাতের পক্ষে সম্ভব নয় দিনকে অতিক্রম করা; এবং প্রত্যেকে নিজ নিজ কক্ষপথে সাতার কাটে।
> It is not permitted to the Sun to catch up the Moon, nor can the Night outstrip the Day: Each (just) swims along in (its own) orbit (according to Law).


(41)

وَآيَةٌ لَهُمْ أَنَّا حَمَلْنَا ذُرِّيَّتَهُم&